মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, " জার্মানির এক গির্জায় বন্দুক ধারীর হামলা ও গুলি বর্ষণে ৭ জন নিহত !!! "
এটাই হচ্ছে ইউরোপ, পাশ্চাত্য ও তথাকথিত আধুনিক বস্তুবাদী বিজ্ঞানমনস্ক প্রাযৌক্তিক সভ্য জগতের প্রকৃত চিত্র। এমন মানসিক রোগ , বিকৃতি ও জটিলতায় আক্রান্ত পশ্চিমা বিশ্বের জনগণের এক বিরাট অংশ যে এদের অনেকেই
নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে ও গণহত্যা ( genocide বা কতলে আম ) চালায় । যেমন অতি সম্প্রতি মানসিক রোগী ৩৫ বছর বয়স্ক এক জার্মান যুবক জেহোভাস উইটনেস নামক এক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের গির্জায় গুলি বর্ষণ করে ৭ জনকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করেছে এবং পুলিশ ঘাতকের এ হত্যা যজ্ঞের উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত উদঘাটন করতে পারে নি। (গির্জায় বন্দুক ধারী)
এ ধরনের গণহত্যা ( হত্যাযজ্ঞ) পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে সচরাচর ঘটেই থাকে । এ কেমন মানসিক রোগ যা পশ্চিমা দেশগুলোয় মানুষকে এমন জঘন্য ভয়ঙ্কর বিবেকহীন নরপশু ও ঘাতকের পরিণত করে ?!!! আসলে এ ধরনের ভয়াবহ মানসিক বিকার , বিকৃতি , জটিলতা ও রোগ - ব্যাধি যা পাশ্চাত্যে মহামারীর আকার ধারণ করেছে তার শিকড় পরম স্বার্থবাদ , ভোগবাদ ও বস্তুবাদের মধ্যেই নিহিত রয়েছে। আর এই বস্তুবাদ , স্বার্থপরতা ও ভোগবাদ পৃথিবীর যেখানে যে দেশে ও যে জাতির মধ্যে বিকাশ ও প্রসার লাভ করবে সেখানে সেদেশে ও সে জাতির মধ্যেই এ ধরণের মানসিক বিকার , বিকৃতি, জটিলতা ও রোগ - ব্যাধিও মহামারীর আকার ধারণ করবে ও বিস্তৃত হবে । তাই পাশ্চাত্য বস্তুবাদী জীবনধারা , সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সবাইকে সাবধান ও সতর্ক হতে হবে এবং সেই সাথে মুসলিম উম্মাহকে খাঁটি ইসলামী জীবন ধারা , সভ্যতা ও সংস্কৃতির দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে যার কোনো বিকল্প নেই। তবে এ প্রত্যাবর্তন অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব না । বরং এটা একটা দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়া। অতএব ধৈর্যের সাথে এ পথে এগুতে হবে।